রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জিয়াউর রহমান (৩৬) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তার কান কেটেও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নিহত জিয়াউর তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের মহির আলি মণ্ডলের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে তানোর উপজেলা সদরের শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর ফেরার পথে খুন হন আওয়ামী লীগের ওই কর্মী। গতকাল বুধবার ভোরে গ্রামের একটি সড়কের প্রান্ত থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় জিয়াউরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে পারিবারিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি কয়েকবার পুলিশকেও জানিয়েছিলেন। পুলিশ এ ঘটনার পর তিন আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করেছে।

এ ঘটনার পর গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ ফরহাদ, শাওন ও হাসান মেম্বারের দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলবানুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছেন, জিয়াউর রহমানকে শক্ত কিছু দিয়ে প্রথমে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এরপর পেট, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে।

এছাড়া অন্য কোথাও হত্যা করে জিয়াউর রহমানের মরদেহ বিলশহর গ্রামের উত্তরপ্রান্তে ফেলে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন। পূর্ব শক্রতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। মরদেহের পাশে তার মোটরসাইকেলটি পড়েছিল।

রাজশাহীর তানোর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, জিয়াউর হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। শিগগিরই এই ঘটনা জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।